আগামী ৭শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী হতে জামিয়ার সকল বিভাগ খোলা হবে । একই দিন থেকে নতুন ও পুরাতন ছাত্র ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে, ইনশাআল্লাহ।
ভর্তিচ্ছুক ছাত্রদের জ্ঞাতব্য
নিম্নবর্ণিত শর্তসাপেক্ষে জামিয়ায় ছাত্রদের ভর্তির অনুমতি দেয়া হয়
* আচার-আচরণ, চাল-চলন, পোষাক-পরিচ্ছদ তালেবুল ইলমের মানসম্পন্ন হওয়া ।
* শরীয়াহ্ পরিপন্থি কোন কার্যকলাপে লিপ্ত না হওয়া ।
* প্রচলিত রাজনীতি ও আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যক্রমের সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত না থাকা।
* জামিয়ার ক্লাস ও ছাত্রাবাসসহ ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা ।
ছাত্র ও অভিভাবকের জন্যে
১। অত্রপ্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্রকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং চুল, দাঁড়ি, লেবাস,
চলা ফেরা প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সুন্নাতের অনুসারী হতে হবে।
২। চলমান রাজনীতি, সংগঠন ও বাতিল মতবাদের সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা চলবে না। কোনো
সংগঠনের সাথে জড়িত প্রমানিত হলে বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
৩। ছাত্রের জন্য মোবাইল ব্যবহার, বহন এবং সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষেধ। কারো নিকট মোবাইল পাওয়া গেলে
তার ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। অতপর,ভর্তি ফি দিয়ে পুনরায় ভর্তি হতে হবে এবং মোবাইল
বার্ষিক পরীক্ষার পর ফেরৎ পাবে।
৪। কোনো ছাত্রের নিকট রেডিও, ভিডিও, টেপরেকর্ডার, অশ্লীল ছবি, নভেল, পত্র-পত্রিকা থাকা শাস্তিযোগ্য
অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
৫। কোনো ছাত্রের চুরি করা বা সিনেমা দেখা প্রমাণিত হলে তা বহিস্কারযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
৬। পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাআতের সাথে মসজিদে আদায় করতে হবে। নির্ভরযোগ্য আপত্তি ছাড়া রুমে নামায আদায় করলে অথবা একেবারে আদায় না করলে তা কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
৭। অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও স্টাফদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করতে হবে। কোনো শিক্ষকের সঙ্গে
বেয়াদবী করলে তা বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
৮। আসর হতে মাগরিব পর্যন্ত সময় ব্যতীত অন্য যেকোনো সময় ছুটি ছাড়া মাদরাসার বাইরে অবস্থান করা
শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
৯। টাকা-পয়সা, বই-খাতা এবং সকল প্রকার জিনিসপত্র নিজ জিম্মায় হেফাজত করতে হবে। অন্যথায়
মাদরাসা কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন না।
১০। রুম, বারান্দা, পেশাবখানা ও গোসলখানা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নতুবা সংশ্লিষ্ট
সকলেই অপরাধী বলে বিবেচিত হবে।
১১। সুন্নাত তরিকায় খানা খেতে হবে। খানা অপচয় করা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
১২। পারস্পারিক ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হলে অথবা আবাসনে যেকোনো প্রকার সমস্য দেখা দিলে রুমের শিক্ষক,
নাযেমে দারুল ইক্বামাহ বা নাযেমে তালীমাতের শরণাপন্ন হতে হবে।
১৩। কোনো ছাত্র কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বহিরাগত কাউকে রাত্রি যাপনের সুযোগ দিতে পারবে না। নিতান্ত
আপনজন হলে নাযেমে দারুল ইক্বামার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
১৪। ক্লাশ চলাকালীন কোনো অভিভাবক ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে পারবে না।
১৫। কোনো ছাত্র টিউশনী করতে পারবে না। করলে তা বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
১৬। মাদরাসার সকল শিক্ষা উপকরণ ও আসবাবপত্র, বিশেষ করে কিতাবাদির যথাযথ হেফাজত করতে হবে।
১৭। স্বহস্তে লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে ক্লাসের ছুটি নাযেমে তালীমাত এবং বড় যে কোনো প্রকার ছুটি
মুহতামিম সাহেব থেকে গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া অল্প সময়ের জন্যে বাহিরে
গেলে বা শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটি নিজ মুশরিফ থেকে গ্রহণ করবে।
১৮। কোনো ছাত্র মাদরাসা থেকে পালিয়ে বা হারিয়ে গেলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।